জেএম. আরাফাত ইসলাম
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড । শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারেনি এবং পারবেও না। কিন্তু সে শিক্ষা অবশ্যই সময়োপযোগী প্রেক্ষিত বিবেচনা করে প্রণয়ন করতে হয়। নতুবা এ শিক্ষা জাতির কল্যাণে কোন ভূমিকা রাখতে পারে না। আমাদের দেশে এখনও কিছু সাবজেক্ট রয়েছে যা বর্তমান সময়ের সাথে একেবারেই বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। এ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করা সময় ও অর্থ অবচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই শিক্ষার্থীরা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে এমন বিষয়কে অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে যা শিক্ষা পরবর্তী সময়ে কোন শিক্ষার্থীকে কর্মহীন থেকে পরিবার ও সমাজের দুশ্চিন্তার কারণ না হয়।
এ সকল বিষয় মাথায় রেখে আমাদের কলেজে এমন কিছু বিষয়ের উপর বিএসসি (অনার্স) ও এমএসসি (মাস্টার্স) করার সুযোগ রয়েছে যেখান থেকে পড়াশোনা করে কোন কোন শিক্ষার্থীকে বেকার থাকতে হয় না, হবেও না।
১। খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে মেডিকেল রিসার্স ইনস্টিউট, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি ইনস্টিউট, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইসিডিডিআরবি, ইউনিসেফ, এনজিওতে ইত্যাদিতে সেবা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া, হসপিটালগুলোতে নিউট্রিশনিস্ট এবং ডায়েটেশিয়ান হিসাবেও কাজ করা যায়।
২। ‘বস্ত্র ও বয়নশিল্প’ বিভাগ থেকে কৃতকার্যদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি: স্পিনিং, ডাইং, প্রিন্টিং মিল, টেক্সটাইল মার্কেটিং ও টেক্সটাইল এডমিনিস্ট্রেশন সেক্টর: বায়িং হাউজ, ব্যাংক প্রভৃতি ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া, সরকারী প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় এই সাবজেক্ট থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিটধারীদের ২০% কোটা সুবিধা তো আছেই।
৩। ‘শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক’ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জাতীয় ও আর্ন্জাতিক সংস্থা, বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে শিশু সংক্রান্ত কাউন্সেলিং, নার্সারি এডুকেশন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার ও ননক্যাডারভুক্ত সরকারী চাকুরিতে দক্ষতার সাথে নিজেদের প্রতিষ্টিত করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
৪। সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনরশিপ বিভাগ হতে পাশ করা শিক্ষার্থীরা ব্যাংক-বীমা, বিসিএস, সরকারী ও বেসরকারী, এনজিওসহ বিভিন্ন চাকুরিতে প্রবেশের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে।
৫। শিল্পকলা ও সৃজনশীল শিক্ষা বিভাগের গ্রাজুয়েটরা পোশাক ডিজাইনার, মার্চেন্ডাইজার, গহনা প্রস্তুতকারক, পাট ও কাঠের কারুকাজ, মৃতশিল্প, গ্রাফিক্স ডিজাইনার ইত্যাদি পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন চাকুরিতে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলে সফল নারী উদ্যোক্তা হিসাবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। এই কলেজটি দেশের সেরা কলেজের একটি। কারণ সকল শিক্ষার্থীরা সব ধরনের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তাছাড়া, এটি বিএইচই ফাউন্ডেশনের আর্থিক অনুদানে পরিচালিত হচ্ছে। বিএইচই ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান যার লক্ষ্য হলো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে, সকলের জন্য শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌছে দেশ প্রেমিক সুনাগরিক গড়ে তোলা।
কেন আপনি অথবা আপনার মেয়েকে আমাদের কলেজে ভর্তি করাবেন- কারণ আমাদের রয়েছে রাজনীতি ও ধুমপানমুক্ত আধুনিক ডিজিটাল ক্যাম্পাস, জ্ঞানী, মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী, আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতে পাঠদান, মেয়েদের সার্বিক সুরক্ষার পাশাপাশি রয়েছে সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কলেজে ক্যাম্পাসে ইংরেজীতে কথা বলা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সুতরাং আপনার প্রতি আমাদের আহব্বান থাকবে আপনি কিংবা আপনার সন্তান, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধবদের আমাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসুন, দেখুন, পর্যবেক্ষণ করুন। আমাদের অব্যহত সেবা সকলের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছাতে আমরা আপনার সর্বত্মক সহযোগিতা ও আন্তরিকতা প্রত্যাশা করি।
Notice Board
Follow us @Facebook
Downloads
Visitor Info